ঘনিয়ে এল যখন মেঘের মায়া ডাকল আকাশ শীতল স্পর্শ করে ঠিক তখনই এই গল্পের শুরু ঠিক তখনই মন টেঁকে না ঘরে না, না, প্রেমের চপলতা নয় এ নয় অভিসারের উচাটন এসব বড়ই নিজস্ব পাগলামি কাজ ফেলে তাই হঠাৎ উদাস মন এমনিতে তো দিব্যি কাটে দিন ঠিক যেমনটি চললে সমীচীন যেমনটিতে আপত্তি নেই কারও তবু আকাশ উঠলে সেজে মেঘে মনের কোণে ছায়া ঘনায় তারও তারপর মন জল ঝরাতে চায় মেঘের মতোই গুমরে গুমরে ওঠে যদিও আছে লোকের চোখের শাসন বাজ পড়ে তাই শব্দ হয়না মোটে বাইরে যখন অঝোর ধারা ঝরে মেয়েটি ঠিক নিরালা সন্ধানী সব কথা, কাজ, হিসেব নিকেশ ছেড়ে নীরবে ঘাঁটবে বেদনার মালা খানি চারপাশ যেই জলরঙে আঁকা ছবি অমনি সে মেয়ে আপনার মুখোমুখি কি যেন নেই, কি যেন হয়নি পাওয়া কিসের বিহনে মেয়েটি অমন দুখী? নিজেও জানে না, জানেনি সে কোন দিনই বর্ষা কেন যে বেদনার তার কাছে নিয়মতে চলা ছত্রখান গভীরে এমন কাঙালপনাও আছে? যাহোক এমনি কেটে যাচ্ছিল দিন পাপস্থলন হয়ে যাচ্ছিল বেশ কেবল বৃষ্টি ঝরাতে আড়াল খোঁজা এবং ভাবনা- না যেন থাকে রেশ এমন সময় অবেলায় এলে তুমি নিঃসংকোচে বাড়িয়ে দিলে দুহাত বুকের ভিতর দুরন্ত নদী জাগে উদ্দাম হয়ে ছেড়ে যায় মরা কাঠ এমনি করেই আকুল ছন্দে মেতে বর্ষা হল অকারণ খুশি দিন মেঘ গুলো হল নির্বার ছায়া ছায়া কারও কাছে নেই বেদনার কোন ঋণ আমার বর্ষা তোমাকেই পেতে চায় মেঘদূত হয়ে মন আমার উড়ে চলে বেদনা ফুরিয়ে অভিসার-সাজে সাজে এখনতো প্রানে তৃষ্ণা মেটাবে বলে…
আরও পড়ুন
- বর্ষা দিনে – উদয় দেবনাথ
- আমার শহরঃ বৃষ্টিমানুষ – প্রদীপ বালা
- রংমশাল – শ্রীজাত
- যায় – শ্রীজাত
- প্রিয় চড়াই– শ্রীজাত
- প্রেমিক জনের চিঠি ২ – শ্রীজাত
- বৃষ্টিশেষের গ্রামটি – শ্রীজাত
- সহজ – জীবনানন্দ দাশ
- ইলশে গুঁড়ি – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
- এখন – তারাপদ রায়
- সমাধি – শ্রীজাত
- নিশ্চুপ যাপন – টুটুল দাস
- পান্থ – শ্রীজাত
- বর্ষার চিঠি – শ্রীজাত
- বৃষ্টি বলুক – শ্রীজাত
- বৃষ্টি বিকেল – শ্রীজাত
- বালিকার জন্য রূপকথা — জয় গোস্বামী
- লা নত্ত্যে – শ্রীজাত
- অসূয়া – শ্রীজাত
- আমাকে ক্ষমা কোরো না চে – প্রদীপ বালা
- ভূতের গল্প – শ্রীজাত