বৃষ্টি ও মেয়েটি – বৈশালী চ্যাটার্জী

ঘনিয়ে এল যখন মেঘের মায়া
ডাকল আকাশ শীতল স্পর্শ করে
ঠিক তখনই এই গল্পের শুরু
ঠিক তখনই মন টেঁকে না ঘরে

না, না, প্রেমের চপলতা নয়
এ নয় অভিসারের উচাটন
এসব বড়ই নিজস্ব পাগলামি
কাজ ফেলে তাই হঠাৎ উদাস মন

এমনিতে তো দিব্যি কাটে দিন
ঠিক যেমনটি চললে সমীচীন
যেমনটিতে আপত্তি নেই কারও
তবু আকাশ উঠলে সেজে মেঘে
মনের কোণে ছায়া ঘনায় তারও

তারপর মন জল ঝরাতে চায়
মেঘের মতোই গুমরে গুমরে ওঠে
যদিও আছে লোকের চোখের শাসন
বাজ পড়ে তাই শব্দ হয়না মোটে

বাইরে যখন অঝোর ধারা ঝরে
মেয়েটি ঠিক নিরালা সন্ধানী
সব কথা, কাজ, হিসেব নিকেশ ছেড়ে
নীরবে ঘাঁটবে বেদনার মালা খানি

চারপাশ যেই জলরঙে আঁকা ছবি
অমনি সে মেয়ে আপনার মুখোমুখি
কি যেন নেই, কি যেন হয়নি পাওয়া
কিসের বিহনে মেয়েটি অমন দুখী?

নিজেও জানে না, জানেনি সে কোন দিনই
বর্ষা কেন যে বেদনার তার কাছে
নিয়মতে চলা ছত্রখান
গভীরে এমন কাঙালপনাও আছে?

যাহোক এমনি কেটে যাচ্ছিল দিন
পাপস্থলন হয়ে যাচ্ছিল বেশ
কেবল বৃষ্টি ঝরাতে আড়াল খোঁজা
এবং ভাবনা- না যেন থাকে রেশ

এমন সময় অবেলায় এলে তুমি
নিঃসংকোচে বাড়িয়ে দিলে দুহাত
বুকের ভিতর দুরন্ত নদী জাগে
উদ্দাম হয়ে ছেড়ে যায় মরা কাঠ

এমনি করেই আকুল ছন্দে মেতে
বর্ষা হল অকারণ খুশি দিন
মেঘ গুলো হল নির্বার ছায়া ছায়া
কারও কাছে নেই বেদনার কোন ঋণ

আমার বর্ষা তোমাকেই পেতে চায়
মেঘদূত হয়ে মন আমার উড়ে চলে
বেদনা ফুরিয়ে অভিসার-সাজে সাজে
এখনতো প্রানে তৃষ্ণা মেটাবে বলে…

আরও পড়ুন

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *