আমাদের পোস্টটিতে তোমার জন্য কিছু সুন্দর সুন্দর কষ্টের গল্প আয়োজন করা হয়েছে বা কষ্টের ভালোবাসা ছোট ছোট গল্প আয়োজন করা হয়েছে। যদি তোমাদের কষ্টের গল্প গুলো ভালোলাগে তাহলে তোমরা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন এবং কমেন্ট করে জানিও তোমাদের কষ্টের গল্প কেমন লাগল।
কষ্টের গল্প
গল্পের নাম- একটি সত্যি ভালোবাসার কষ্টের গল্প
মেয়েটির সাথে ছেলেটির সম্পর্ক আজ প্রায় ৫ বছর।
ছেলেটি মেয়েটিকে একদিন একটি বারবি ডল উপহার দিয়েছিল।
ছোট্ট একটা কোম্পানিতে সামান্য কিছু বেতনে চাকরি করতো বিধায় ইচ্ছা থাকলেও বড় কিছু কিনে দেবার সামর্থ্য ছিল না তার।ছেলেটি ভাবতো সে যদি মেয়েটিকে বিয়ে করে তবে সারা জীবনেও তাকে ঐশ্বর্যের সুখ দিতে পারবেনা।
হঠাৎ কোনও এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় মেয়েটি সেই ছেলেটির বাসার সামনে এসে হাজির।মেয়েটি বললো,আগামি কাল সন্ধ্যায় সে তার বা মার সাথে প্যারিসে চলে যাচ্ছে এবং সেকোনও দিনও ফিরবে না।সুতরাং তাদের সম্পর্ক আজ এখানেই শেষ।ছেলেটি কি বলবে বুঝতে পারছিলো না,তবে চোখের পানি সামলে নিয়ে শুধু আস্তে করে বললো“ঠিক আছে”
পরদিন সন্ধ্যা…
আজও গত দিনের মতো বৃষ্টি হচ্ছে।ছেলেটি এক কাপ চা হাতে বারান্দায় দাড়িয়ে ছিল। হঠাৎ খেয়াল করে দেখলো দূর আকাশে একটি প্লেন ভেসে চলেছে।গন্তব্য জানা না থাকলেও ছেলেটি বিড় বিড় করে আপন মনে তার ভালবাসার মানুষটিকে দূরথেকেই গুড বাই জানালো।
রাত ১ টা…
ছেলেটি ঘুমোতে পারছে না।কয়েক ডোজ ঘুমের ওষুধ খেয়ে চোখ মুখ জ্বালা করছে তবুও ঘুম নেই।যেই মানুষটিকে ভেবে ভেবে সে প্রতি রাত পার করেছে,যাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে তার প্রতিটি সকাল হয়েছে সেই মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে গেছে স্পষ্টই বুঝতে পারছিলো সে,নিজের কাছে কিছু সত্য ভালবাসা ছাড়া আর এমন কিছুই ছিল না যার মাধ্যমে সে তার ভালবাসাকে আঁকড়ে রাখবে।
ঐশ্বর্যের ভেতরে থেকে যে মানুষ হয়েছে সে কেন মনের আবেগে অন্ধকারে পা দেবে,কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ছেলেটি মন শক্ত করল।যে ঐশ্বর্যের টানে মেয়েটি আজ তাকে ছেড়ে চলে গেলো একদিন সমপরিমান ঐশ্বর্য নিয়েই সে মেয়েটির সামনে হাজির হবে।
কঠোর পরিশ্রম আর নিয়তির নির্মম পরিহাসে ছেলেটি আজ অঢেল সম্পত্তির মালিক।নিজস্ব কোম্পানি,আর লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি নিয়েসে আজ সম্পূর্ণ প্রস্তুত সেই মেয়েটির সামনে হাজির হতে।
আজও সন্ধ্যা হয়েছে,আকাশ মেঘ করে অঝোরে বৃষ্টি নামছে,ঠিক যেনসেই দিনের বৃষ্টি যেদিন তার ভালবাসা তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো-আনমনে এ সব কথা ভাবতে ভাবতে গাড়ি চালাচ্ছিলো ছেলেটি।
এয়ারপোর্ - ট রোড,রাত ৮টায় ফ্লাইট,গন্তব্য প্যারিস-সেই মেয়েটির খোঁজে।
গাড়ি চালাতে চালাতে হঠাৎ সামনের রাস্তায় দুইজন মধ্য বয়সী নারি পুরুষের দিকে চোখ গেলো তার।চিনতে অসুবিধা হয়নি,তারা সেই মেয়েটির বাবামা।
ইচ্ছে হচ্ছিলো কাছে যেয়ে মেয়েটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে।কিন্তু মনের আকুলতা সামলে নিয়ে সেগাড়ির গতি কমিয়ে মেয়েটির বাবা মার পিছু পিছু যেতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর সে খেয়াল করল মেয়েটির বাবা মা একটি কবর স্থানের ভেতর ঢুকছে।দম বন্ধ হয়ে আসছে ছেলেটির।গাড়ি থামিয়ে দ্রুতসে নিজেও কবর স্থানে গেলো,য েয়ে দেখতে পেল সেই মেয়েটিরছবি সম্বলিত একটি কবরে তার বাবা মা ফুল দিচ্ছে।
কবরের এক পাশে রয়েছে একটি বাক্স।
ছেলেটিকে দেখে মেয়েটির বাবা মা এগিয়ে এলো।কেমন করেএ সব হল জানতে চাইলে
তারা বলে, “ওকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য প্যারিসে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।কিন্ত -ও যেতে চাইনি,ও তোমার কথা বলেছিল।বলেছিল-ত -ার ভালবাসাকে রেখে সে কিছুতেই যেতে পারবে না।ওর আসলে ক্যান্সার হয়েছিলো।
ডাক্তার - ওর মৃত্যুর দিন ঠিক করে দিয়েছিল কিন্তু এ সব তোমাকেও বুঝতেও দেই নি।ও কোনও দিনও তোমার হতেপারবে না,এ কথা জেনেই ও নিজেকে তোমার থেকে আলাদা করে নিয়েছিলো।ও মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিলো- ওর ভালবাসা অবশ্যই তোমাকে ওর কাছে ফিরিয়ে আনবে”
এর পর তারা কবরের পাশের সেই বাক্সটার দিকে দেখিয়ে বললে,সম্ভবত তোমারজন্য ওটাতে কিছু আছে।
ছেলেটি বাক্স খুলে দেখে এর ভেতর সেই বারবি ডল আর একটি চিঠি।চিঠিতে লেখা রয়েছে “আমাকে ক্ষমা করো,তোমাকে কষ্ট দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই আমার ছিল না।স্বপ্ন ছিল তোমার সাথে আমার ভবিষ্যৎ গড়ব,কিন্তু ডাক্তার আমার চলে যাবার টিকিট দিয়ে দিয়েছিল,তাই আমাকে একলা চলে আসতে হল”।
চিঠির একদম শেষ প্রান্তে লেখা ছিল-“খবরদার কাঁদবে না”
অনেক কষ্টের ভালোবাসার গল্প
মেয়ে: হ্যালো! কেমন আছো?
ছেলে: কে বলছেন?
মেয়ে: আমি বলছি।
ছেলে: আমি টা কে ?
মেয়ে: আমি, তুমি আমাকে চিনতে পারছোনা ?
ছেলে: নাম না বললে কিভাবে চিনবো ?
মেয়ে: তুমি আমার কন্ঠটাও ভুলে গেছ ? এত কথা বলেছি আমরা । আমি বিশ্বাস করিনা তুমি আমাকে চিনতে পারোনি । আমার উপর রাগ করে বলছো তাই না।
ছেলে: কথা বললেই কি কন্ঠ চেনা যায় ? পাশে থাকলেই কি মানুষ চেনা যায়? ভালবাসি বললেই কি ভালবাসা যায় ? আর রাগ,কিসের রাগ ?
মেয়ে: এতদিন পরে কথা হচ্ছে, তুমি আজও এমন কঠিন করে কথা বলবে? এখনো আমায় ক্ষমা করতে পারোনি না ?
ছেলে: সহজ করে কথা বললে কি হবে ? আর তুমি তো কোন পাপ করোনি, ক্ষমাটা আসছে কোথা থেকে ?
মেয়ে: পাপ ! আমি কত বড় অপরাধ করেছি সে তো আমি জানি । যার জ্বালায় এখন জ্বলে পুড়ে মরছি । কেমন আছো অাকাশ ?
ছেলে: যেমন থাকার কথা ছিল ।
মেয়ে: এখনো যে জেগে আছো ! ঘুমাওনি কেন?
ছেলে: ঘুম…! ঘুম যার কাছ থেকে কিনতাম সে তো মারা গেছে কয়েকমাস হল । তাই আর ঘুমানো হয়না ।
মেয়ে: হ্যা ঠিকই বলেছো, আমি তো মারাই গেছি । কি করো এত রাতে?
ছেলে: বেলকনিতে বসে সিগারেট খাচ্ছি।
মেয়ে: তুমি আবার সিগারেট ধরেছো ? সিগারেট ছাড়ার জন্য যে আমার হাতে হাত রেখে কথা দিয়েছিলে সে কথা ভুলে গিয়েছো ?
ছেলে: সবাই কি সব কথা রেখেছে ? কেউ একজন কথা দিয়েছিল সিগারেট ছাড়লে তিনবেলা নিয়ম করে চুমু খাবে । কথা দিয়ে কথা রাখেনি তবে আমি কেন কথা রাখবো?
মেয়ে: অাচ্ছা আমি কেমন আছি সেটা জিজ্ঞেস করলে না ?
ছেলে: নিশ্চই ভাল আছো । ভাল থাকার জন্যই তো আমার থেকে দূরে সরে গিয়েছ।
মেয়ে: হ্যাঁ,ভাল আছি, অনেক বেশিই ভাল আছি আমি। এত সুখে আছি যা কল্পনাও করতে পারবেনা তুমি । সারা শরীরে আজ ভালবাসার চিহ্ন।
ছেলে: ভালবেসে বিয়ে করেছ ভাল থাকাটাই স্বাভাবিক । আমি তো কখনোই ভালবাসতে পারিনি, সুখ দিতে পারিনি ।
মেয়ে: তুমি আমাকে জীবনেও বুঝলেনা । আমি কিসের জন্য তোমার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছি সে শুধুই আমি জানি ।
ছেলে: জানি কেন আমায় দূরে ঠেলেছিলে, অতটুকু বোঝার ক্ষমতা আমার আছে । যাকে পাগলের মত ভালবেসেছি তাকে বুঝতে পারবো না।
মেয়ে: আজ কত তারিখ মনে আছে তোমার?
ছেলে: দিন তারিখ মনে রেখে কি হবে।
মেয়ে: আজ সেই দিন তিন বছর আগের যেই দিনটাতে তুমি আমাকে ভালবাসি কথাটি বলেছিলে । তুমি সেই দিনটিও ভুলে গেছ?
ছেলে: মানুষই মানুষকে ভুলে যায়, নিজেই নিজেকে ভুলে যায়, আবার দিন মনে রাখবো কি করে ।
মেয়ে: তুমি মিথ্যে বলছো, তুমি কিছুই ভুলে যাওনি। আমি তোমাকে চিনি অর্ক অনেক ভালভাবেই চিনি । ভালবেসেছিলাম, এখনো ভালবাসি । শুধু পরিস্থিতি দূরে যেতে বাধ্য করেছে । তুমি শুধুশুধু আমায় ভুল বুঝেছো । আমি জানি আমি অপরাধ করেছি কিন্তু আমার কিছুই করার ছিলনা । আমার বিয়ে করাটা জরুরি ছিল, আর তুমি ঐ মুহুর্তে আমায় বিয়ে করতে পারতে না । জানি তুমি আমায় ঘৃনা করো। কিন্তু মনে রেখ আমি তোমায় আজও ভালবাসি আগের মতই শুধু মাঝে একটা দেয়াল আছে এই আরকি! ছেলে: হাহাহাহাহা। ভালবাসা!!!!! আমার কারো ভালবাসার দরকার নেই।আমি এখন সিগারেট ছাড়া আর কাউকেই ভালবাসিনা।আমি আর সিগারেট দুজনের সংসার খুব ভালই চলছে। এর মাঝে আপনি আর জ্বালাতন না করলেই খুশি হব অর্না ম্যা’ম! good bye —কিছু কথা
ভালোবাসার মাজে সব কিছু ঠিক থাকে বাট হঠাৎ কোন এক কারনে সব কিছু শেষ হয়ে যায়। এ রকম গল্প শুনতে প্রতিদিন ভিজিট করুন
আরও পড়ুন:- Bangla Sad Love Story 2021
ব্রেকআপ
ব্রেকআপ !!! (চিৎকার করে বলে উঠলো মিম)
রায়হানঃ মানে?
মিমঃ মানে বুঝো না? মানে হলো তোমার আর আমার রিলেশনের এখানেই শেষ! বাই -বাই!
রায়হানঃ আচ্ছা।
মিমঃ আচ্ছা মানে? তুমি কিছু বলবা না?
রায়হানঃ ‘আচ্ছা আজকে কি আমরা শোক পালন করবো? না মানে যেমন ধরো..প্রতিদিন আমরা আইসক্রিম, ঝালমুড়ি, ফুচকা খাই..আজকে বরং তা না করে সিগারেট খাই!’
মিমঃ তুমি আমাকে সিগারেট খাওয়াবা !!!
রায়হানঃ না মানে.. কষ্ট ভুলতে তো মানুষ তা-ই করে!
মিমঃ তোমার কি মনে হয় আমার কষ্ট লাগবে? মোটেও না!
রায়হানঃ ওওওওওও..
রাগে হাতের ব্যাগটা আছাড় মেরে মিম বললো,
তুমি একটা ছাগল আর একটা ছাগলের সাথে কোনো মানুষের সম্পর্ক থাকতে পারে না!’
কথাটা বলেই বাসার দিকে হাঁটতে লাগলো মিম……
মিমের ফেলে যাওয়া ব্যাগটা হাতে নিলো রায়হান।
ভেতরে একটা মোবাইল আর কিছু টাকা আছে।
রায়হান একবার ভাবলো মিমকে ব্যাগের জন্য ডাক দিবে ৷
কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তাটা বাদ দিল।
ব্যাগটা হাতে নিয়েই হাঁটা শুরু করলো রায়হান ।
দুটো বাচ্চা মেয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দড়িলাফ খেলছিল।
রায়হানের হাতে মেয়েদের ব্যাগ দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলো মেয়ে দুটো।
ওদের হাসি দেখে রায়হানও হেসে দেয়।
তবে এবার আর মেয়ে দুটো হাসে না।
হয়তো রায়হানকে পাগল ভাবছে!
মিমঃ হ্যালো, তুমি আমার মোবাইলসহ ব্যাগ চুরি করলা কেন?
রায়হানঃ না, না আমি তা করিনি! তুমিই তো ব্যাগটা ফেলে আসলে।
মিমঃ একদম মুখের ওপর কথা বলবা না! কালকে আমার ব্যাগ নিয়ে সোজা ওখানে চলে আসবা।
বাই! ফোনটা কেটে দিল মিম! কাঁদছে ও..!
দুটো কারণে (ব্যাগটা ও ইচ্ছে করেই ফেলে এসেছে) প্রথমত,
এই ব্যাগের অজুহাতে আবার রায়হানের সাথে দেখা করা যাবে!
আর দ্বিতীয়ত, আজই রায়হানের কলেজে পরিক্ষার ফিস দেয়ার শেষ দিন।
তাই ব্যাগে টাকাটা রেখে এসেছে যাতে বাধ্য হয়ে
ওর টাকাটা দিয়ে পরিক্ষার ফিস দিতে পারে রায়হান ৷
এমনিতে সরাসরি দিলে রায়হান তা কোনোদিনই নিতো না!তাই বাধ্য হয়েই
ঝগড়াটা সৃষ্টি করছিল ও! আধঘণ্টা ধরে বসে আছে মিম।
কিন্তু রায়হান আসার কোনো নাম নেই! যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াতেই
দৌড়াতে- দৌড়াতে সামনে এসে দাঁড়ায় রায়হান!
রায়হানঃ সরি! এই নাও তোমার ব্যাগ! আর একটা কথা বলবো?
মিমঃ কি?
রায়হানঃ আমি তোমার টাকাগুলো খরচ করে ফেলেছি! মিমের মুখে একটা প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো! কিন্তু মুখে বললো, ‘ফাও কথা বলবা না! ব্যাগে কোনো টাকা ছিল না!’
রায়হানঃ না, না, সত্যি ছিল! তোমার ওই টাকা দিয়েই তো জব্বার চাচাকে একটা পাঞ্জাবী কিনে দিয়েছি! সরি! প্লিজ কিছু মনে করো না! আসলে হাতে কোনো টাকা ছিল না তাই! তবে এ মাসের টিউশিনির টাকাটা পেলেই দিয়ে দিবো! তুমি তো চাচার কথা সবই জানো! তাই আর কি.. সরি!
ঠোঁটচেপে কান্না আটকে রেখেছে মিম! যে মানুষটা নিজেই ঠিকমত চলতে পারে না, যার নিজেরই একটা ভালো জামা নেই, যে নিজেই সারা বছর কষ্ট করে কাটায়, সেই মানুষটাই কিনা আরেকজনকে সাহায্য করে তার জন্য আমার কাছে মাফ চাইছে! কোনোমতে নিজেকে সামলে উঠে মিম বললো, ‘তোমাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়নি?’
রায়হানঃ না! আরো দুই দিন সময় দিয়েছে ।
মিমঃ বের করে দিলে খুশি হতাম!
রায়হানঃ আচ্ছা আজ থেকে কি তোমার ফোন রিসিভ করবো? না মানে তুমি তো কাল বললে..
মিমঃ হ্যাঁ, আজকে থেকে তুমি আর আমার ফোন রিসিভ করবা না! কিন্তু ফোন ঠিকই দিবা! না দিলে চড়দিয়ে আক্কেল দাঁতসহ সবগুলো দাঁত ফালায়া দিবো!’ এই বলেই এবার আর কান্না আটকে রাখতে পারলো না মেয়েটা! অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো রায়হান! আর দশটা সাধারণ গল্পের ছেলেগুলোর মতো রায়হানও বুঝতে পারছে না মেয়েটা কেন কাঁদছে! শুধু মনে- মনে বলছে- আবার কি করলাম—??
প্রীতি এবং অসীম কষ্টের গল্প
প্রীতি এবং অসীম ।
এটি এদের জীবনের ঘটনা ।
প্রীতি তখন যশোর সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী ।
নীলিমা তার খুব ঘনিষ্ট বান্ধবি । তারা একই সাথে হোস্টেলে থাকত ।
যেখানেই যাক না কেন দুজনকে একই সাথে পাওয়া যেত ।
একদিনের ঘটনা । সেদিন তারা যশোর শহরের মধ্যে দিয়ে কোথায় যেন যাচ্ছিল ।
হঠাত্ পেছন থেকে কে যেন ডাক দিল ‘এই নীলিমা ।’দুজনেই পেছন ফিরে তাকাল ।
দেখল এক সুদর্শন যুবক । আরে এতো নীলিমার দূর সম্পর্কের মাসতুতো দাদা অসীম ।
যাহোক ঐদিনই অসীমের সাথে পরিচয় হয় প্রীতির।
বেশ কিছুদিন কেটে গেল । প্রীতি কেন যেন মনের কোন একখানে অসীমের প্রতি টান অনুভব করল ।
ওদিকে অসীমেরও একই অবস্থা ।
অসীম প্রায়ই প্রীতিদের হোষ্টেলে আসতে লাগল প্রীতিকে দেখার জন্য ।
কিন্তু মনের কথাটি আরবলা হয় না তাকে ।
এদিকে প্রীতি এই টান আর সহ্য করতে পারল না ।
সেই প্রথম বলল ভালবাসারকথাটি ।
শুরু হল দুটি জীবনেরএকটি নতুন অধ্যায় ।
ওদিকে নীলিমা সবই জানতে পারল ।
সে তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে লাগল ।
এভাবেই চলছিল এক অবুঝ প্রেম । তারা একসাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াত ।
অনেক আনন্দ আর সুখ ছিল সেইদিন গুলোতে ।
একসময় ওরা সিদ্ধান্ত নিল ওরা বিয়ে করবে ।
গোপনে করেও ফেলল । দুই ফ্যামিলির কেউ জানল না ।
যাহোক এসব খবর বেশি দিন চাপা থাকে না । জেনে গেল দুইফ্যামিলি ।
অসীমরা ছিল ব্রাক্ষ্মন আর প্রীতি নিচু কুষ্টের মেয়ে ।
অসীমের বাবা মা এই বিয়ে মেনে নিল না ।
প্রীতির বাড়ি থেকেও প্রায় একই সমস্যা হল ।
তবুও তারা বিচ্ছিন্ন হল না । তারা যশোরে একটি বাসা ভাড়া নিল ।
অসীম তার জমানো টাকা দিয়ে ছোট খাট একটা ব্যবসা ?
??ুরু করল । বেশ সুখে শান্তীতেই চলছিল তাদের দুজনের সংসার ।
কিন্তু হায় ! নিয়তির কি নির্মম পরিহাস । হঠাত্ করেই অসীম অসুস্থ হয়ে পড়ল ।
এরপর হসপিটাল, মেডিকেল চেকাপ, রিপোর্ট । রিপোর্টে জানা গেল অসীম ক্যান্সার আক্রান্ত ।
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল প্রীতি ।
একমুহূর্তেই যেন সমস্ত জ্ঞান হারিয়ে ফেলল সে ।
নিজেকে কোন মতে সামলে নিল ।
ডাঃ জানাল ৫০লাখটাকা লাগবে ।
তাহলেই অসীমকে পূর্ণ সুস্থ করা যাবে ।
প্রীতি সাথে সাথে অসীমের বাবা মার কাছে গেল অসীমকে নিয়ে ।
অসীমের বাবা জানালেন তিনি কোন টাকা দিতে পারবে না ।
যদিও তিনি ছিলেন প্রচুর সম্পদের মালিক ।
প্রীতি আর দাড়াল না । অসীম কে নিয়ে চলে এল বাবার বাড়ি ।
বাবার ছোট একটা ব্যবসা ছিল । তার যা পুঁজি ছিল সবটুকুই দিয়ে দিল অসীমের চিকিত্সারজন্য।
টাকা ফুরিয়ে গেল কিছুদিনের মধ্যে ।
এদিকে অসীমেরও দিন ফুরিয়ে আসছে ।
একদিন সকাল প্রতি ঘুম থেকে উঠে অসীম কে ডাকল ।
কিন্তু ঐদিন অসীম আর ঘুম থেকে উঠল না।
প্রীতি নির্বাক পাথর হয়ে গেল । তার মুখে কোন কথা নেই ,চোখে নেই অশ্রু ।
শুধু থেকে থেকে একটি কথাই বলছিল “আজ তুমি কোথায় গেলে আমাকে ছেড়ে ,
আমাকে কেন বলে গেলে না যে তুমি চলে যাচ্ছ ?”
অসীম কে চিতার আগুনে দগ্ধ করা হল ।
তখনো প্রীতির চোখে অশ্রুর ফোটা গড়িয়ে পড়ে নি ।
সে আজ বড় একা । ৫ বছর পার হয়েছে ।
তবু এখনো ভোলেনি অসীমের কথা ।
বিধবার সাজে চাপা কষ্ট নিয়ে আজো ঘুরে বেড়ায় ।
তবে সে এখন মাঝে মাঝে কাঁদে ।
সেআজো অসীমের বড় বাঁধানো ছবি বুকের উপর নিয়ে ঘুমায় ।
যখন সে তার জীবনের এই কাহীনিটা বলছিল তার চোখে জলের ধারা দেখেছি আমি ।
জানিনা তুমি কোথায় আছ , কেমন আছ ।
আজ তোমাকে বড় বেশি মিস করি । যেখানেই থাকো , ভাল থাকো ।
স্বামী স্ত্রী মজার কষ্টের গল্প
ছেলেটি বাসর ঘরের দরজা লাগাতে লাগাতে বউকে বললো…!
। –রেডি আছোতো…?
। বউ ভয়ে চুপসে গেলো কথাটি শুনে…
অচেনা- অপরিচিত কারোর মুখে হঠাৎ এমন কথা শোনাটাই অস্বাভাবিক…
তার উপড় আবার বাসর রাত…!
। বউ ঘোমটা তুলে কাপা কাপা গলায় বললো…!
। –মানে…? ।
ছেলেটি গিয়ে বউয়ের পাশে বসলো…
কিছু সময়ের জন্যে ওর চেহারা খানা দেখে নিলো…
কি সুন্দর চেহারা… কিন্ত এখনো বউয়ের মুখে ভয়ের ছাপ বিদ্যমান…
ছেলেটি আবার তাকে বললো…!
। –রেডি হও…!
। কথাটি বলার পরে বউ আরও ভয় পেয়ে গেলো…
আস্তে আস্তে ছেলেটির থেকে দূরে সরে যেতে লাগলো…
বউয়ের এই কাজ দেখে ছেলেটি মনে মনে হাসছে…
ছেলেটির মনে আরো দুষ্টুমী করার ইচ্ছা হতে লাগলো…
ছেলেটি আবার বললো…!
। –কি হল…?বিয়ের কাপড় গুলো খুলো,তারপর রেডি হও…!
। উপড়ের কথাটা শুনে বউ এবার খাট থেকে নেমেই পড়লো…
ভয়ে ভয়ে রুমের দরজার কাছে চলে যেতেই ছেলেটা ওর হাত চেপে ধরলো…
মেয়েটা মনে হয় অন্য কিছু ভেবে এতোটা ভয় পেয়েছে…
থর থর করে কাঁপছে মেয়েটি…
ছেলেটি ওর ভয় কাটানোর জন্যে বললো…!
। –আরে বাবা,বাহিরে চাঁদ দেখতে যাবো তোমাকে নিয়ে,
তাই বিয়ের কাপড় খুলে অন্য কাপড় পরে রেডি হতে বললাম…
তোমরা মেয়েরা পারোও বটে…!
। এবার বউয়ের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে…আহা কি হাসি…
মনে হচ্ছে মোনালিসার সেই জগত ভোলানো হাসি…
এই হাসির প্রেমে পরে গেলো ছেলেটি…!
। বাহিরে বসে আছে ছেলেটা আর মেয়েটা যারা এখন স্বামী-স্ত্রী…
ছেলেটির মনে বউ কথাটা ভাবতেই কেমন যেনো ভালবাসা উপচে উঠছে…
আহা কি মধুর ডাক…বউ…কি আনন্দ আকাশে বাতাসে…
আজকের চাঁদটাই যেনো ছেলেটির দেখা সবচেয়ে সুন্দর চাঁদ…! ।
রাতের অপরুপ চাঁদের আলোতে বউয়ের চেহারাটা সাদা ধবধবে হয়ে উঠেছে…
কি মায়াবী চেহারা…ছেলেটির মন বলছে সারাজীবন চেয়েই থাকুক সে…
হঠাৎ করে বউয়ের হাত ধরে বসলো ছেলেটি…
বউ কিছুটা লজ্জা পেলেও হাত ছাড়িয়ে নেইনি…
ওর হাতে আলতো করে একটা চুমু খেলো ছেলেটি…
ছেলেটির ঠোটের স্পর্শ পেয়ে সে চোখ বন্ধ করে ফেললো…
ছেলেটির মনে হলো এটাই বুঝি ভালোবাসা…!
ছেলেটি চাঁদ দেখছে আর মাঝে মাঝে পাশে বসে থাকা অপ্সরীকে দেখছি…
বউও তাকে দেখছে আবার লজ্জাও পাচ্ছে…
হঠাৎ ছেলেটি তার বউয়ের হাতের স্পর্শ পেলো…
স্বামীর হাতটা সে তার হাতের মধ্যে নিয়ে নিলো…
ছেলেটিও ভালবাসার অনুভুতিতে একবার চোখ বন্ধ করে ফেললো…
তার পর যা হলো তার জন্য ছেলেটি মোটেও প্রস্তুুত ছিলো না…
বউটা ছেলেটির হাতের আংগুলে কামড় দিয়ে দৌড়ে পালালো…!
তারপরই ছেলেটির ঘুম ভেঙে গেলো আর
একবুক আফসোস নিয়ে সে মনে মনে ভাবতে লাগলো…
সত্যিইকি আমার এমন একটা বউ হবে…!
কষ্টের ছোট গল্প
৬. একটি মেয়ে একটি আংটি চেয়েছিল।
তবে ছেলেটি তার পরিবর্তে একটি টেডি বিয়ার দিল।
ক্রোধে মেয়েটি টেডি বিয়ারটি রাস্তায় ফেলে দেয়।
ছেলেটি নিতে গিয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একটি ট্রাকের ধাক্কায় সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
তার জানাজায়, মেয়েটি টেডি বিয়ার জড়িয়ে ধরে এবং এতে থাকা মেশিনটি বলে,
“আপনি আমাকে বিয়ে করবেন?” অনুমান কি সে পেয়েছে? এর ভিতরে একটি আংটি।
৭. একদিন, দুর্দান্ত ডিনার করে এবং গভীর রাতে সিনেমা উপভোগ করার পরে, প্রেমিক এবং বান্ধবী দুজনেই বাসায় ফিরছিলেন। ছেলেটি গভীর নীরবতায় বুঝতে পেরেছিল যে কিছু ঠিক নেই। পরের মুহুর্তে, মেয়েটি ছেলেটিকে কিছুটা টানতে বলল কারণ সে কিছু নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল।
ছেলেটি গাড়িটি পাশের গলিতে সরিয়ে নিয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। মেয়েটি বলেছিল:
আমার অনুভূতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং এটি আমাদের মধ্যে কাজ করছে না।
ছেলেটি চুপ করে গেল এবং তার গালে একটি টিয়ার ফোটা পড়ল। সে নিজের পকেট থেকে ভাঁজ করা নোটটি তার কাছে নিয়ে গেল। ঠিক তখনই এক মাতাল চালক সরাসরি কোথাও ড্রাইভার সিটে আঘাত করতে পারেন। অলৌকিকভাবে মেয়েটি বেঁচে যায় তবে ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
হাসপাতালে ফিরে আসার পরে, মেয়েটি নোটটির কথা মনে পড়ল এবং সে তা টেনে এনে পড়তে:
তোমার ভালবাসা না থাকলে আমি মরে যেতাম।
তো তোমাদের কষ্টের গল্প পড়ে কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আরো নিচে কিছু কষ্টের আছে যদি ভালো লাগে এই লিংকে ক্লিক করে আরো পড়তে পারেন।
এটিও পড়তে পারেন:-