তুমি কি Bangla Love Story সন্ধান করছেন। তাই আমরা তোমাকে সেরা Bangla Love Story, ভালোবাসার গল্প দিতে যাচ্ছি। Bangla love story Inspirational and Encouraging সব প্রেমিক-প্রেমিকাদের এগুলো পড়লে আপনার শরীরের মধ্যে দিয়ে রোমান্টিক ভাব ফুটে উঠবে এবং আরো তোমার জন্য বিখ্যাত লেখকের এই ভালোবাসা গল্প গুলি পড়তে ভালোলাগবে। আপনি ফাঁকা টাইমে Bangla Love Story গুলো পড়তে ভালো লাগে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেসবুকে বা হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করো আর কমেন্ট করে জানিও
Bangla Love Story
একটা মেয়ের দুটো ছেলে গল্প
একটা মেয়েকে দুটো ছেলে ভালোবাসে ৷
মেয়েটার দুই ছেলে কেই ভালোলাগে
কিন্তু মেয়েটা তো দুজনকে বিয়ে করতে পারবেনা ৷
তখন মেয়েটা ঠিক করলো সে যার ঘরে
গিয়ে সুখি হতে পারবে তাকেই বিয়ে করবে ৷
মেয়ে দেখলো একজনের ধন সম্পদ কম আর একজনের বেশি তখন মেয়েটা যার সম্পদ
বেশি তাকেই ভালবাসতে শুরু করলো
আর যে ছেলেটার সম্পদ কম তাকে চলে যেতে বলল ৷
তখন সেই গরিব ছেলেটা বলল
” আমার ভালোবাসা যদি সত্তি হয় তাহলে
একদিন অবশ্যই আমি তোমাকে পাবো “
এই কথাটা বলে গরিব ছেলেটা ওখান থেকে চলে গেল ৷
কিছুদিন কেটে গেল, তারপর তাদের প্রেম আস্তে আস্তে অনেক গভীর হলো
এদিকে সেই গরিব ছেলেটা প্রতিটা
দিন মেয়েটার খবর নেয়ার জন্য তার
কাছে যায় মেয়েটা কেমন আছে তা
জানার জন্য কিন্ত যতবার ছেলেটা
মেয়েটার কাছে গেছে ততবারে
মেয়েটা ছেলেটাকে দুরদুর করে
তারিয়ে দিছে তবুও গরিব ছেলেটা
সেই মেয়েকে ভালবাসে ৷
ধনী ছেলেটি তার প্রেমিকাকে
একদিন দেখা করতে বলল এবং তারা
দুজন দেখা করলো,
কথা বলতে বলতে হঠাৎ এক সময় ধনী
ছেলেটি তার প্রেমিকাকে বললো
তারা দুজন শারীরিক সম্পর্ক করবে তখন
মেয়েটা রাজি হলোনা মেয়েটা
বলল বিয়ের আগে অমি কিছুই করবো না ৷
ছেলেটা মেয়েটাকে অনেক
রিকুয়েষ্ট করলো কিন্ত কোন ভাবেই
মেয়েটা রাজি হলোনা ৷
এভাবে প্রতিটা দিন ভুলিয়ে
ভালিয়ে ছেলেটা মেয়েকে রাজি
করার চেষ্টা করে কিন্ত মেয়েটা
রাজি হয়না ৷
এভাবে আরো কিছুদিন চলে গেল,
যতদিন যায় ততবেশি ছেলেটা নানান
ভাবে মেয়েকে রাজি করার চেষ্টা
করে কিন্ত মেয়েটার সেই এক কথা “
বিয়ের আগে আমি কিছু করবো না “
তারপর মেয়েটা খুব বিরক্ত হয়ে তাকে
বলল তোমার যদি এতই ইচ্ছা তাহলে
আমায় বিয়ে করে তারপর তোমার যা
খুশি তাই করো তখন আমি কোন
কিছুতে না করবো না ৷
তখন ছেলেটি বলল জান শুনো এখন
আমরা বিয়ে করবো না, আরো
কিছুদিন পর আমরা বিয়ে করবো ৷
মেয়েটা বলল যখন বিয়ে করবে তারপর
বিয়ের আগে হবেনা, এই বলে
মেয়েটা সেখান থেকে চলে যায় ৷
এদিকে গবিব ছেলেটা এখনও তার
ভালবাসার মানুষের খবর নেয়,
মেয়েটা তাকে কত অপমান করেছে
তবুও তাকে এখনও ভালবাসে ৷
হঠাৎ একদিন মেয়েটার মনে সেই গরিব
ছেলেটার কথা ভাবতে শুরু করলো,
মেয়েটা চিন্তা করলো গরিব
ছেলেটা যে তাকে ভালবাসে কতটুক
ভালবাসে তা একবার পরিক্ষা করা
যাক ৷ ওই যখন গরিব ছেলেটা তার
কাছে আসলো তার খবর নিতে তখন
মেয়েটা তাকে আরালে নিয়ে
গিয়ে ছেলেকে জিগাসা করলো
মেয়ে : আমায় ভালবাস?
ছেলে : হ্যা বাসি ৷
মেয়ে : কি করতে পারবে আমার জন্য ?
ছেলে : সবকিছুই করতে পারবো এমনকি
আমার জিবন ও দিয়ে দিবো ৷
মেয়ে : কোন কষ্ট না দিয়ে আমায়
সুখে রাখতে পারবে ?
ছেলে : জানিনা তোমায় কতটুক সুখ
দিতে পারবো কিন্ত আমার যত
ভালবাসা তা দিয়ে তোমার দুঃখ
গুলো ভুলিয়ে রাকতে পারবো
তারপর মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর
বলল শুনো আমি এখন তোমার সাথে
শারিরীক সম্পর্ক করবো তারপর তুমি
চলে যাবে আর কোনদিন আমার
সামনে আসবে না কারণ তুমিতো
আমার সব কিছু পেয়ে যাবে তারপর
তো আর আমাকে তোমার কোন
প্রয়োজন নেই তাই না ?
এই কথা শুনে ছেলেটা বলল শুনে মেয়ে
” আমি তোমাকে ভালোবাসি
তোমার দেহ কে নয় ৷ তুমি যদি আমার
সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতে চাও
তাহলে আমায় বিয়ে করে তারপর
করো ৷ আমি কোন পাপ করতে চাইনা
ছেলেটার মুখ থেকে এই কথা শুনে
মেয়েটা খুবই আচ্যার্য হয়ে গেল,
মেয়েটা মনে মনে ভাবলো আমি
যার সাথে প্রেম করি সে নিজেই
আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে
চাইছে আর আমি এই ছেলেকে
করতে বলছি কিন্ত এই ছেলে এসব কি
বলে ৷
মেয়েটা তাকে কিছু না বলে চলে
গেল এবং ছেলেটাও সেখান থেকে
চলে আসলো ” ওই দিন তাদের মধ্যে
আর কোনো কথা হলনা ৷
তারপর রাতে মেয়েটাকে তার
লাভার ফোন দিয়ে কথা বলতেছে” যা
কিছুই জিগাসা করুক আর না করুক তার
মুখে একটা কথা আছেই সে শারিরিক
সম্পর্ক করবে ৷
মেয়েটা আবারো না করাতে
ছেলেটা তখন মেয়েকে বুঝাতে
লাগলো ” ছেলেটা বলতেছে জান
তুমি আমার সাথে এখন করলে ক্ষতি
কি ? আমিতো তোমাকেই বিয়ে
করবো ৷
মেয়েটা আবারো না করাতে
ছেলেটা রাগ করে বলল বুঝছি আসলে
তুমি আমায় ভালবাসনা ” তুমি যদি
আমায় ভালবাসতে তাহলে আমার
কথা রাখতে তুমি আমায় ভালবাসনা
তাই আমার কথা রাখনা ৷
এই কথাটা শুনে মেয়েটা অনেক কষ্ট
পেল , আসলে কিন্ত মেয়েটা তাকে
অনেক ভালবাসে কিন্ত আজ তার
মুখে এমন কথা শুনে মেয়েটার মন
ভেঙ্গে গেল ৷
মেয়েটার মন ভেঙ্গে গেছে তা
জানার পরও ছেলেটা তাকে
আবারো সেই এক কথাই বলল ৷ তখন
মেয়েটা তার মন শক্ত করে
ছেলেটাকে বলল আচ্ছা ঠিক আছে
আমি তোমার কথায় রাজি ” বলো
কবে কোথায় আসতে হবে ?
এই কথা শুনে ছেলের খুশির কোন সিমা
নেই ” তখন ছেলেটা একটা হোটেলের
নাম বলল আর বলল কালকেই করবে ৷
মেয়েটা বলল ঠিক আছে ৷ এই বলে
ফোনের লাইনটা কেটে দিলো,
কিছুক্ষণ পর মেয়েটা সেই গরিব ছেলের
কাছে ফোন দিয়ে বলল কালকে তার
সাথে দেখা করতে, ছেলেটা বলল
ঠিক আছে ৷
পরদিন সকালে মেয়েটা ঘুম থেকে
উঠে সুন্দর মত ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করলো
তার কিছুক্ষণ পর তার লাভার ফোন
দিয়ে জানতে চাইলো কখন আসবে
তখন মেয়েটা বলল এইতো এখনি বের হব ৷
এই কথা শুনে সে সাথে সাথে সেই
হোটেলে চলে আসলো এবং
মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করতে
লাগলো ৷
এদিকে মেয়েটি সেই গরিব ছেলের
কাছে গেল এবং তাকে নিয়ে
সোজা কাজী অফিসে গেল এবং
দুজনে বিয়ে করলো ৷ ৷ ৷
.
( ছেলেটা একদিন
মেয়েটিকে বলেছিল ” আমার
ভালবাসা যদি সত্তি হয় আমি
তোমাকে একদিন পাবো
কলেজের প্রথম দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসা
রোমান্টিক প্রেমের গল্প
কলেজের প্রথম দুষ্টু মিষ্টি ভালবাসা
ঘামের একটা ধারা চিবুক বেয়ে থুতুনিতে জমা হচ্ছে।সামনে পুলিশের চেক।পেছনে গাড়ির লম্বা লাইন ধরা খেলে চলবে না। গাড়ি চেক করলেই ধরা খাব। মাথার ভিতরে মগজ গুলা তীরের বেগে ছোটাছুটি করছে।পালানোর পথ খুজতে হবে। শামুকের গতিতে সামনের দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছি। পাচঁ মিনিতের ভেতর পুলিশের হাতে ধরা পড়তে যাচ্ছি। এদিকে আকাশও কান্না করছে বিরামহীন। হঠাৎ ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন মনে হল। বামে একটা ছোট্ট রাস্তা বেরিয়ে গেছে। গাড়ির নাক ঘুরিয়ে ছুটিয়ে চললাম সেদিকে। মেঘের গর্জন গাড়ির গতির আওয়াজকে চাপা দিয়ে দিল। একটু নড়েচড়ে বসার সুযোগ পেলাম।
রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে এক প্যাকেট সিগারেট আর একটা লাইটার নিয়ে আবার চলতে শুরু করেছি।এর ভেতর শহর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।এভাবে আর আধ ঘন্টা চললে গন্তব্যে পৌছে যাব।
আধ ঘন্টার আগেই পৌছে গেলাম ফাকা বাড়িটায়। স্টিয়ারিং এর সীটে বসেই এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল ঠোটে। কালকের পেপারে হেডলাইন রচনা করবে প্রহর। হেডলাইন হবে “অজ্ঞাত পরিচয়ের একটা মেয়ের লাশ উদ্ধার ” মেরে ফেলার আগে ধর্ষণ আর পৈচাশিক অত্যাচারের চিহ্ন একে দিব সারা শরীরে। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি জ্বলন্ত সিগারেটের পোড়া দাগ ফর্সা শরীরে কেমন দেখাবে?
মাইক্রোর পেছেনের ব্যাকডালা খুলে ফেললাম।এখনো জ্ঞ্যান ফিরেনাই মোহনার।হাতের কাছে বিয়ের শাড়িটা পড়ে আছে। আড়কোলে করে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলাম। এখানে বিদ্যুৎ নেই।তাই আগে থেকেই হ্যাজাকের ব্যাবস্থা করে রেখেছিলাম রণকে দিয়ে। ও জাহাজের ক্যাপ্টেন বেশিরভাগ সময় বাড়ি থাকে না। কয়েকদিন থাকার কথা বলে বাড়িটা নিয়েছি। এতক্ষনে মোহনার বাড়ির লোকেরা হন্যে হয়ে খুজছে ওকে। বিয়ের কনে বলে কথা! শেষ বারের মত দেখা করব বলে নিয়ে এসেছিলাম। বাইরে আসতেই ক্লোরোফোম মেশানো রুমালের সাহায্য ঘুমিয়ে দিয়েছি কয়েক ঘন্টার জন্য।বিছানায় শুইয়ে দিয়ে পাশেই চেয়ার পেতে বসে পড়লাম।চোখের পাতা কেমন ভারি হয়ে উঠছে…….
বখে যাওয়া সন্তান আমি।কলেজের যত রকম প্রবলেম হয় তার বেশির ভাগের মুল কারন আমি।মারামারি, মেয়েদের জালানো, সিগারেট, মাঝে মাঝে ড্রিংকস। সবটাই আমার আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এমন একটা সময় পরিচয় মোহনা নামের এই মেয়েটার সাথে। আমার প্রথম ভাল লাগা। কিন্তু সেটাকে ভাললাগার মাঝেই সীমাবদ্ধ করে রেখছি।তখনও বুঝিনি যে মেয়েটাও আমাকে পছন্দ করত। কখনো সাহস করে কথাও বলতে যায়নি ওর সাথে। হঠাৎ একদিন ও নিজেই এসে বলল।
– এই যে শুনেন…
– জি বলেন…
– আপনার নাম তো প্রহর! তাই না?
– হ্যা।কোন প্রবলেম?
– না।আমি আপনাকে ভালবাসি।
ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম।কি বলা উচিৎ বুঝতে পারলাম না।এই মেয়ে কি আমাকে টিজ করতেছে? না ইয়ার্কি মারছে। আশপাশে তাকিয়ে দেখি আসিফ,ইকবাল,জোহান সব কটা মুখ টিপে হাসছে।চোখ গরম দিতেই যে যার মত কেটে পড়ল….
– হ্যালো……….?
– হ্যা.. কি কি?
– কি ভাবছেন এত।?শুনতে পাননি কি বলেছি?
– ফাজলামি করছ আমার সাথে? আমাকে চেন?
– না চেনার কি আছে? কলেজের হেড অফ দ্যা বদমাশ।
– থাপ্পড় চিন মেয়ে? (যতটা ঝাড়ি দিয়ে অন্যদের সাথে কথা বলি সেভাবে আওয়াজটা বের হল না।নিজের কাছেই কেমন নিরামিশ মনে হল।)
– এভাবে কথা বলছেন কেন? আপনি যেমন হন আমার প্রবলেম নেই।কিন্তু এখন থেকে একটু একটু করে চেঞ্জ হতে হবে।আজ আমার একটু কাজ আছে কাল আবার আসব….
আমার উত্তরের জন্য ও দাড়িয়ে নেই।চলে যাচ্ছে।নিজেকে কেমন বোকা মনে হচ্ছে।
ঠিক এভাবেই শুরুটা হয়েছিল।ওর এক পাশের ভালবাসা দিয়ে।নিজেকে যতই কঠিন ভাবি। ওর সামনে ঠিক ততটাই গলে যাই। চাইলেও সামলে রাখতে পারিনা। সাড়া দিয়েছি ওর প্রেমে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমার বাজে অভ্যাস পাল্টে দেওয়ার অভিজানে নেমেছে মোহনা। মাত্র ছয় মাসে সব কিছু ছেড়ে দিলাম। তবে সিগারেট টা মাঝে মাঝে লুকিয়ে খাই, সেটাও খুব কম। একদিন ধরা খেয়ে গেলাম সিগারেট সহ। সেই যে কি রিএক্ট শুরু করল। কান্না কাটি শুরু করে দিয়েছে। আমিও ওর সাথে তাল মিলিয়ে কান্না শুরু করলাম। হঠাৎ ও চোখ কুচকে আমার দিকে তাকালো….
– কি হল তুমি কেন কাদঁছো?
– তুমি কাদঁছো তাই।
– শালা ছাগল কোথাকার তুই সিগারেট কেন খাইছিস?
– সত্যি প্রমিস আর কোনদিন খাব না।
– পাক্কা?
– হুম…..
আমি আমার প্রমিস রেখেছি।তারপর আর কখনো সিগারেট ধরিনি।ভালই চলছিল সব কিছু।ভদ্রতার চাদর পরে নিয়েছি ততদিনে।হঠাৎ করেই একদিন এসে বলল বাসা থেকে বিয়ে ঠিক করেছে।পালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।সুতরাং ওকে ভুলে যেতে হবে।আকাশ থেকে পড়ার মত অবস্থা।একদিন হঠাৎ করেই এসে বলল ভালবাসি।আজ আবার বলল ভুলে যাও।মগের মুল্লুক…..
এক সপ্তাহ ধরে সময় নিয়ে একটু একটু করে ওকে বোঝালাম থাকতে পারব না ওকে ছাড়া। একটুকু গলে নি ও।হাল ছেড়ে দিলাম। যে ভালবাসবে সে এভাবে ছেড়ে যেতে পারেনা। ধরে নিলাম আমাকে ভালবাসেনি ঠকিয়েছে।টাইম মেশিনের মত হতাম যদি জীবনের লাস্ট দুই বছর ডিলিট করে দিয়ে নতুন কিছু আপলোড দিয়ে নিতাম। একা একা হাসি ঘরের ভেতর। মাঝে মাঝে কাদিঁ। আর নয় দিন পর হারিয়ে ফেলব চীরদিনের মত আমার মোহনা কে। ভাবতে ভাবতেই ড্রয়ার খুলে সিগারেটের প্যাকটা বের করলাম। যে নেই তার সাথে প্রমিস রাখার মানে কি! আগে খেতাম শখে,আর এখন খাই মোহনার উপর জমে থাকা রাগে।নাহ এভাবে নিজেকে কেন শেষ করব?
আমার জন্য তো বসে নেই।তাহলে আমি কেন নিজেকে………
সব কিছুর প্লানিং শেষ। ছুরিটা শুধু ওর গলার উপর দিয়ে চালিয়ে দিতে হবে…..
মৃদু শব্দে হালকা ঘুমটা চলে গেল।মোহনার হুশ ফিরেছে।নাহ এখনো বেচেঁ আছে ও। তারমানে এতক্ষন গভীর ঘুমে মগ্ন ছিলাম। জামাটা ঘামে ভিজে গায়ের সাথে লেপ্টে আছে।বুকটা কেমন অস্থির ভাবে ওঠানামা করছে। যেন ম্যারাথন এর প্রতিযোগিতা থেকে মাত্র ফিরলাম। ওর মুখের কাপড় খুলে নিলাম।আলোটা সয়ে নিতে একটু সময় লাগছে ওর। সিগারেট জ্বালিয়েছি আর একটা।
– প্রহর……..? মানে কি এসবের?
– অবাক হচ্ছো খুব?
– আজ আমার বিয়ে। সারা বাড়িতে মেহমান।বাবা মায়ের মান সম্মান থাকবেনা।আমাকে যেতে হবে…
– হা….. হা…….হা………
(আমার এই হাসির সাথে আমিও পরিচিত নই। নিজের কাছেই পৈচাশিক মনে হচ্ছে।অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মোহনা। একটা অন্য প্রহর দেখছে আজ)
– হ্যা আমিও এমন অবাক হয়েছিলাম সেই প্রথম দিন,যেদিন আমাকে প্রথম বলেছিলে ভালবাস। আর সেদিন, যেদিন ভুলে যেতে বললে। সব কিছু শেষ দিন আজ।কিন্তু আমি নানা,আজ তুমি অবাক হবে। আজই শেষ…..
– কি বলতে চাইছো তুমি?
– তনুর কথা মনে আছে?
– কোন তনু?
– ভুলে গেছ
– যাকে নিয়ে সারা দেশে এক সময় তোলপাড় হয়েছিল!
– ও হ্যা…ওকে তো ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল।
– একজ্যাক্টলি! কালকের পেপারেও এমন একটা নিউজ আসবে কিন্তু তোমার দুর্ভাগ্য সেটা দেখার সুযুগ পাচ্ছ না তুমি?
– কি বলতে চাও তুমি?( গলার স্বর হঠাৎ করেই মিইয়ে গেছে)
– যেটা ভাবছো তুমি সেটাই…..
– প্রহর না…….
– এত সহজে কিভাবে ছেড়ে দেই বল? যখন ইচ্ছা হল ব্যবহার করবে।ইচ্ছা মত ফেলে দেবে?
– প্রহর প্লিজ না…..
দুজনের মাঝের দুরত্ব কমে গেছে। সময়ের ব্যাপার মাত্র।
– প্রহর প্লিইইজ……
মোহনার চোখের পানি গড়িয়ে আমার হাটুর উপর পড়ল। এভাবে পারব না। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে এমন অত্যাচার করতে পারব না ওর সাথে। সারা বাড়ি খুজেও কোন নেশাজাত দ্রব্য পেলাম না। ওর ওড়না দিয়েই নিজের চোখ বাঁধলাম। এবার আর চোখের পানির কাছে হার মানতে হবে না।
বাম হাত দিয়ে ওর হাত চেপে ধরে কাছে টেনে নিয়েছি। গলার আর্তনাদ ভেসে উঠল ওর। নিজের পেশি গুলা অসাড় হয়ে যাচ্ছে। ওর কাতর কন্ঠস্বর শুনে কিছুই করতে পারব না। কানের ভেতর তুলা গুজে নিলাম। তাতেও ওর অন্তরের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। ঠোটের কাছে নোনা স্বাধ অনুভব করছি। হবে না…….
চোখের বাধন খুলে নিচের দিকে চেয়ে আছি। আমার হাত থেকে ছাড়া পেয়েই দেয়ালের দিকে সরে গেছে ও।
চোখে রাজ্যের ভয় আর অবিশ্বাস। সিগারেট জ্বেলে চোখের পানি আড়াল করতে চাইলাম। জানি না কতটা সফল হয়েছি।ডান হাতের তালুতে জলন্ত সিগারেট টা চেপে ধরে নিভিয়ে ফেললাম। কোন কষ্টই অনুভব করিনি।
– শুধু একটা প্রশ্ন মোহনা।কেন করলে এমন?
– আ…আ….আমার কিছু করার ছিল না।হঠাৎ করেই বাসা থেকে…
– আরেহ… তুই তো কত আশ্বাস দিয়েছিলি।আমি না চাইতেই ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলি।তাহলে এভাবে ছেড়ে দিয়ে যাচ্ছিস কেন?
– আমাকে মাফ করে দাও তুমি!
– আরে যা যাহ…..মাফ করে দিলাম।যা চলে যা….ও যাবি কিভাবে শহর থেকে অনেকক দুরে আছিস।
নিজেই জানি না আমি কি করছি।ওর হাত ধরে টেনে উঠালাম।ওড়নাটাও নিজেই চাপিয়ে দিয়েছি।
– কই নিয়ে যাচ্ছ প্রহর?
– তোকে তোর বাড়ি দিয়ে আসব…
আমার নিজের ভেতর অচেনা স্বত্ত্বা বিরাজ করছে।যতটা না কষ্ট হচ্ছে নিজের জন্য তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে।এই মুখটাকেই তো ভালবেছিলাম…..
জানি এসব বোঝার ক্ষমতা ওর নেই। চোখের পানি ফেলা আযথা জেনেও ঝরে যাচ্ছে শুধু শুধু। গাড়ির পেছনের দরজা খুলে নিরব ভাষায় বললাম উঠতে। ওর ইতস্তত দেখে বুঝলাম বিশ্বাস করতে পারছে না। নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে এখন এই মেয়েটাই ছিল যে আমাকে ভালবাসত! একটা ধাক্কা মেরে গাড়ির সীটে ফেললাম ওকে…..
পিন পতন নিরবতা গাড়ির ভেতরে। নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে চোখ গুলা। লুকিং মিররে মোহনার দিকে তাকালাম। আমার দিকে চেয়ে আছে। মায়া কান্না কাঁদছে। কাজল মুছে চোখের নিচটা কালি হয়ে আছে। ডান হাতটা স্টিয়ারিং হুইল থেকে বুকে উঠে গেল। ভতরটাতে পেইন হচ্ছে খুব।
বাসার সামনে গাড়ি থেমে গেল। সারা বাড়ি লাইটিং করা।কোন সোরগোল নেই।ম্লান ভাবে আলো জ্বলছে।হেডলাইট অফ করে বুঝালাম নেমে যাও। লুকিং গ্লাসে শেষ বারের মত ভালভাবে দেখে নিচ্ছি। নেমে যাওয়ার জন্য যেন কোন তাড়াহুড়ো নেই ওর। গ্লাসে তাকিয়ে দেখছে আমাকে। হয়ত একটু খানি মায়া রয়ে গেছে এখনো।
– যাও……
যেন এটা শোনার জন্য বসে ছিল।গেটের লক খোলার আওয়াজ স্পষ্ট। হুইলের উপর মাথা ঠেস দিয়ে চাপা কান্না ঠেকানোর ব্যার্থ প্রচেষ্টা করলাম। হঠাৎ সামনের ডোর খুলে গেল। মোহনা আমার পাশে উঠে বসছে। তাড়াহুড়ো করে চোখ মুছে তাকিয়েছি ওর দিকে।গাড়ির ভেতরে রাখা পানির বটল খুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। আর সামলে রাখতে পারলাম না নিজেকে।যতটা জোরে পারলাম ততটাই জোরে মোহনার বাম গালে চার আংগুলের দাগ বসিয়ে দিলাম।ব্যাথায় ককিয়ে উঠল ও।
– প্রহর….
– আমাকে মুক্তি দে।চলে যা।আমার খারাপ টা দেখার জন্য বসে থাকিস না।
– এতক্ষন যখন পারনি। আর পারবা ও না।আমার কথাটা শুনো……
– বিয়ের দাওয়াত দিবি তো?
– চুপ!একদম চুপ…..তোমার কাছের ফ্রেন্ডস রা তোমার ব্যাপারে আমাকে খুব বাজে বাজে ইনফর্ম করত। নেশা আর মেয়েদের সাথে আড্ডাবাজি এসব শুনতে শুনতে পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম। একদিন আমি নিজেই দেখলাম আরশার সাথে কফি খাচ্ছো। আমার বন্ধুদের সাথে সব শেয়ার করতাম। ওরা সব না জেনেই আমাকে ভুলভাল বোঝাতে শুরু করল। আর আমি কোন কিছুর বিচার না করে আমাকে যা বোঝালো তাই বুঝে তোমার থেকে দুরে সরে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমাকে ভালোবাস না। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।প্লিজ মাফ করে দাও……
কথা গুলা শুধুই শুনেছি,কিছুই বুঝিনি।কারন বোঝার মত মানষিকতায় নেই আমি।
– কি হল মাফ করবেনা প্রহর?
আবারও একবার বিকৃত হাসি হাসলাম।ডান হাত দিয়ে চোখ মুছে নিয়েছি।লোনা পানির স্বাদে হাতের তালু জ্বালা করে উঠল। সিগারেটের পোড়া ক্ষত হাতে…..
– কিছু বল প্রহর।আমার কষ্ট হচ্ছে খুব।
– যাবে আমার সাথে?
– হুমমমম…..
– ভালবাসবে তো?
হু হু করে কেঁদে উঠল মেয়েটা।
– আম সরি প্রহর………
গাড়ি আবার নিজ গতিতে ছুটে চলল তার আজানা গন্তব্যে।
রাতের অন্ধকার চীরে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা দুজন।
– মোহনা?
– উমমমম……
– কতদিন থাকবে এভাবে।
– ভালবাসার শেষ দিন পর্যন্ত…
– মানে ?
– যেদিন মরে যাব সেদিনই হবে “ভালবাসার শেষ দিন “
সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প
প্রেমিকা : কি করছো ?
আমি : ছবি আঁকছি l
প্রেমিকা : কার ছবি ?
আমি : তোমার ছবি l
প্রেমিকা : হটাৎ আমার ছবি কেনো ?
আমি : দেখছি তোমাকে বউ সাজিয়ে কেমন
দেখাবে ?
প্রেমিকা : এত্ত ভালবাসো আমায়….!! কিন্তু
যদি অন্য কারো
সাথে আমার বিয়ে হয়ে যায় তাহলে তুমি কি করবে ?
আমি : জানিনা…., তবে তুমি আমাকে একদিন ঠিকই ভুলে যাবে l
প্রেমিকা : খুব রেগে গিয়ে প্রায় ধমক দিয়েই বললো, কীভাবে ?
আমি : আমি বললাম পরিস্থিতি একদিন তোমাকে আমার
নামটাও ভুলিয়ে দেবে ……! মনে করো বিয়ের দিন
সকাল থেকেই উপবাস, লোকজনের ভিড়,
ক্যামেরার আলো,
সানাইয়ের অওয়াজ এসবের মাঝে তুমি খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়বে,
তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে করতে পরবে না l
অন্যদিকে আমি তখন বন্ধুর সাথে উল্টো-পাল্টা খেয়ে
পড়ে থাকবো আর নিজের মনকে বোঝানোর
জন্য তোমাকে স্বার্থপর বলে গালি দিব l
বৌ
ভাতের দিন তুমি তো আরও ব্যস্ত হয়ে পড়বে,
সেদিন
নায়িকার মতো করে সবাই তোমাকে দেখতে চাইবে,
তোমার সাথে কথা বলতে চাইবে, আর আমি
সেদিন
একলা অন্ঘধকার ঘরে বসে পুরনো স্মৃতির কথা মনে
করে করে কাঁদবো l
বিয়ের শেষে তোমার সব আত্মীয় যখন বাড়ী
চলে যাবে তখন আমার কথা তোমার হটাত হটাত মনে
পড়বে l
তারপর তোমরা হানিমুনে যাবে……!!
ঘুরতে
যাবে কোনো এক বরফের দেশে, ওটা হবে তোমার সুখের
স্বর্গরাজ্য..!!
ওখানে তোমার স্বামী তোমার
এতোটাই care
নেবে যে, তোমার তখন নিজের বাবা- মার কথাও মনে
আসবে না,
আর ভুল করেও যদি আমার কথা তোমার একবারও
মনে পড়ে যায় তাহলে তুমি ভাববে, আমার সাথে
তোমার বিয়ে না হয়ে বোধহয় ভালই
হয়েছে,
আমি
ততদিনে নিজের পড়াশোনা
জলাঞ্জলি দিয়ে উদ্দেশ্যহীন
ভাবে জীবনের পথ চলছি,
লোকদেখানো নর্মাল জীবন
শুরু করেছি, সবাইকে বলি তোমাকে
ভুলে গোছি, কিণ্তু
মাঝ রাতে তোমার sms গুলো পড়ি আর
দীর্ঘশ্বাস
ছাড়ি l তারপর একদিন তুমি মা হয়ে
যাবে, তখন
তুমি আর কারও প্রেমিকা কিংবা নতুন বৌ থাকবে না,
আমার
স্মৃতি কিংবা স্বামীর আহ্লাদ,
এসবের চেয়ে
বাচ্চার care নিতে তুমি সারাটা দিন ব্যাস্ত
থাকবে l আর
আমি তখন
তোমার জীবন থেকে
মোটামুটিভাবে
পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে যাবো….!! এতোদূর বলার পর
দেখি
প্রেমিকা
ছলছল চোখ নিয়ে আমার দিকে
তাকিয়ে আছে
….. কিছু বলতেও পারছে না… প্রেমিকা :
কিছুক্ষন
পর ও বললো তবে কি সেখানেই সব
শেষ ?
আমি : আমি বললাম না না…..
পৃথিবীটা তো খুবই ছোটো…!!
হয়তো তুমি আর তোমার
স্বামী কোনো এক ক্লান্ত
বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছো…..নির্জন পথ ধরে
গল্প করতে করতে হেঁটে চলেছ,
ঠিক সেইসময় দেখতে পেলে
আমি সামনে দিয়ে হেঁটে আসছি,
আমরা তখন
মুখোমুখি
-সামনাসামনি, কয়েক সেকেণ্ড পরস্পরের দিকে তাকিয়ে থাকবো,
কিণ্তু পাস কাটিয়ে চলে যাবার
সময় দেখবে আমাদের দুজনেরই বুকের বাম পাশটা
অসহ্য ব্যথায় চীন চীন করে উঠবে, দুজনের চোখে জল
বেরোবে না ঠিকই কিণ্তু,
দুজনের হৃদয় ঠিকই কাঁদবে
যে কান্নার আওয়াজ কারোর কানে পৌঁছবে না l রাস্তায়
যেতে যেতে তোমার স্বামী
বিড়বিড় করে কি সব
বলে যাবে তা তোমার কানে পৌঁছবে নাl করণ,
আমাদের দুজনেরই তখন মনে পড়বে কয়েক বছর আগে
পরস্পরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো,
মনে পড়বে
একে – অপরকে ছেড়ে থাকতে না পরার মতো দিনগুলোর
কথা ………
[এটা কাল্পনিক, নিজেকে যুক্ত করে গল্পটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছি মাত্র……..!!
তবে বাস্তবের সাথে যে এই ঘটনার কোনো
মিল নেই এই কথাটা বোধহয় বলা ভুল হবে l
বরং , বলা যেতে পারে
এটাই হলো পৃথিবীর অলিখিত নিয়ম,
যা প্রতিদিন কারও না কারো জীবনে বহমান
ঘটনা……
তো তোমাদের কেমন লাগলো এই Bangla Love Story ও ভালোবাসার গল্প নিশ্চয়ই তোমাদের ভালো লাগবে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেসবুকে আর হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করতে পারেন আর অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন যে তোমাদের কেমন লাগলো | যেটা তোমার পছন্দের গল্প লিঙ্কটাতে ক্লিক করুন |
আরো পড়ুন:-
Awesome story…