Top 40 Best Bengali jokes king – বাঙালি জোকস কিং

Bengali jokes king

(১) ভিক্ষুক : মাগো! দুটো ভিক্ষা দিন, মা।

বাড়ির মালিক : বাড়িতে মানুষ নেই, যাও।

ভিক্ষুক : আপনি যদি এক মিনিটের জন্য মানুষ হন, তাহলে খুব ভালো হতো!

(২) দুই মেয়ে কথা বলছে-

১ম মেয়ে: আজকালকের ছেলেদের কোনো বিশ্বাস নাই। আমি তো আজকে থেকে ওর মুখও দেখতে চাই না…

২য় মেয়ে: কি হইছে? তুমি কি ওকে অন্য কোনো মেয়ের সাথে দেখে ফেলছ?

১ম মেয়ে: আরে না! ও আমারে আরেক ছেলের সাথে দেখে ফেলছে…। কালকে ও আমারে বলছিল যে, ও নাকি শহরের বাইরে যাবে। তাহলে সে আমাকে কিভাবে দেখল।

মিথ্যুক, বদ, ধোঁকাবাজ…

(৩) প্রেমিকা তার প্রেমিককে রাতে রোমান্টিক মেসেজ পাঠাচ্ছে…

মেয়েঃ ঘুমিয়ে আছো তো স্বপ্ন পাঠাও,

জেগে আছো তো ভাবনা পাঠাও,

যদি কাঁদছো তো চোখের জল পাঠাও ।

ছেলেঃ প্রিয়তমা পায়খানা করতেছি কি পাঠাবো ?

(৪) বল্টু : তুই তোর বউয়ের সাথে ঝগড়া করিস ?

পল্টু : হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।

বল্টু : বলিস কী ! তারপর ?

পল্টু : তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।’

(৫) প্রথম বন্ধু : জানিস, আমাদের বাসার সবাই বাথরুমে গান গায়!

দ্বিতীয় বন্ধু : বলিস কী, স-বা-ই?

প্রথম বন্ধু : সবাই, চাকর-বাকর পর্যন্ত।

দ্বিতীয় বন্ধু : তোরা তাহলে সবাই খুব গানের ভক্ত!

প্রথম বন্ধু : দূ-র-র, তা নয়, আসলে আমাদের বাথরুমের ছিটকিনিটা নষ্ট তো, তাই!

(৬) তন্ময় : তোর ছোট ভাইটা এখন কী করছে ?

রাফি : কিছুদিন আগে একটা কাপড়ের দোকান খুলেছিল, এখন জেলে আছে।

তন্ময় : কেন ?

রাফি : কারণ ও দোকানটা খুলেছিল হাতুড়ি দিয়ে…দরজা ভেঙে !

(৭) বদু : কী করছিস আজকাল?

কদু : সৎ পথে ব্যবসা করার চেষ্টা করছি।

বদু : তাহলে তো তোর একচেটিয়া ব্যবসা।

কদু : মানে?

বদু : তুই ছাড়া তো ওই লাইনে আর কেউ নাই!

(৮) এক শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের জিজ্ঞেস করেন –

এমন জিনিসের নাম বল তো যা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতি হয় ।

ছাত্র – চুল

শিক্ষক – কিভাবে ?

ছাত্র – মাথায় আমরা বলি চুল , চোখের উপরে থাকলে বলি ভ্রু, ঠোটের উপরে থাকলে বলি গোফ , গালে ও চিবুকে থাকলে বলি দাড়ি । বুকে থাকলে বলি লোম এবং ……

শিক্ষক – সাবধান আর নিচে নামিস না !!!

আরও পড়ুন: – Bengali Jokes

(৯) পচাদা নিজের দোকানের নতুন কর্মচারি বান্টাকে বলল ‘আমি বাড়ি থেকে আসছি, কোন খদ্দের ফেরাবি না।

যা চাইছে তা দোকানে না থাকলে অন্য কোম্পানির কিছু একটা দিয়ে বলবি আজকের মত চালিয়ে নিতে, কাল এনে দেবো’

খদ্দের : ভাই টয়লেট পেপার আছে ?

বান্টা : না দাদা, শিরিষ কাগজ আছে, আজকের মত চালিয়ে নিন, কাল এনে দেবো।

(১০) ৩ জন মাতাল রাতে একটা গাড়িতে উঠল ড্রাইভার বুঝতে পারল যে তারা মাতাল!!

ড্রাইভার গাড়ির ইঞ্জিন চালু করল এবং সাথে সাথে বন্ধ করে ফেলল আর তাদেরকে বলল যে তারা নাকি গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গিয়েছে।

৩ মাতাল গাড়ি থেকে নামল। তারপর……

১ম মাতালঃ ধন্যবাদ….

২য় মাতালঃ নিন, ১০ টাকা বকশিস দিলাম।

তখন ৩য় মাতাল ড্রাইভারকে দিল একটা থাপ্পর। ড্রাইভার মনে করল যে লোকটা বোধ হয় মাতাল না, হয়ত সবকিছু বুঝে ফেলেছে। তবুও ড্রাইভার তাকে জিজ্ঞেস করল: থাপ্পর মারলেন কেন??

৩য় মাতালঃ শালা, এত স্পীডে কি কেউ গাড়ি চালায়! আর একটু হলে তো মেরেই ফেলেছিলি।

(১১) ম্যাজিস্ট্রেট : ২০ টাকা পকেট মারার জন্য তোমাকে একশ টাকা জরিমানা দেওয়া হল।

পকেটমার : আমার কাছে মাত্র ২০ টাকা আছে, স্যার। বাকি টাকা এক্ষুনি এনে দিতে পারি, কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবে।

(১২) তিন বন্ধু মিলে জঙ্গলে হাঁটতেছে ৷ হঠাৎ তাদের সামনে একটা পরী এল

পরী : তোমরা একটা করে ইচ্ছার কথা বল , আমি তোমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করে দেব৷

বন্ধু ১ : আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর বানিয়ে দাও ৷

পরী : দিলাম ৷

বন্ধু ২ : আমাকে দুনিয়ার সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে বানিয়ে দাও ৷

পরী : দিলাম ৷

বল্টু : এই দুইজনকে আগের মত করে দাও!!

(১৩) দুই বিবাহিত বন্ধু বিল্টু আর দুবলোর মধ্যে কথা হচ্ছে –

বিল্টু: আচ্ছা দুবলো! বল তো সিনেমার জীবন আর বাস্তব জীবনের মধ্যে পার্থক্য কী?

দুবলো: এইটা বুঝলি না! সিনেমায় অনেক ঝক্কিঝামেলা পেরোনোর পর বিয়ে করতে হয়। আর বাস্তব জীবনে বিয়ের পর অনেক ঝক্কিঝামেলা শুরু হয়!

(১৪) ডাক্তার: চিন্তার কিছু নেই। আপনার চাচার অসুখটা আসলে মানসিক। উনি মনে করেন উনি অসুস্থ, আসলে তা নয়।

কিছুদিন পর রোগীর খবর নিতে ফোন করলেন ডাক্তার।

ডাক্তার: কী অবস্থা আপনার চাচার?

রোগীর আত্মীয়: খুবই খারাপ! উনি মনে করেন, উনি মারা গেছেন!

(১৫) এক ছাত্র পরীক্ষার হলে বসে প্রশ্নপত্র নিয়ে বেশ অস্থির হয়ে বিড় বিড় করছে-

শিক্ষক: কী ব্যাপার তুমি খাতায় না লিখে বসে বসে উসখুস করছ কেন?

ছাত্র: স্যার, প্রশ্ন যে রকম কঠিন এসেছে লিখতে আমার বারোটা বাজবে।

শিক্ষক: তাতে কি এখন তো এগারোটা বাজে!

(১৬) শফিক সাহেব: আমি আগামী মাস থেকে যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব। কী বলেন?

রফিক সাহেব: কেন, এ মাসে নামবেন না কেন?

শফিক সাহেব: এ মাসে আমার ছেলের বিয়ে আর আগামী মাসে মেয়ের বিয়ে তো, তাই!

আরও পড়ুন: – Bengali Funny Quotes

(১৭) পাত্রীর বাবা : ছেলের আচার-ব্যবহার কেমন?

ঘটক : নিশ্চয়ই ভালো। এক খুনের মামলায় তার ১০ বছর জেল হয়েছিল।

আচার-ব্যবহার দেখেই জেল কর্তৃপক্ষ সাজা দুই বছর মওকুফ করেছে।

পাত্রীর বাবা : ছেলে উদার মানছি। আমার মেয়েকে যে কখনোই ছেড়ে যাবে না,

আপনি কী করে বুঝলেন, ঘটক সাহেব?

ঘটক : কারণ, ছেলে এ পর্যন্ত কোনো গার্লফ্রেন্ডকেই ছাড়েনি। বরং গার্লফ্রেন্ডরাই তাকে ছেড়ে গেছে!

(১৮) যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে-

শিক্ষক : আমি টেবিল ছুঁয়েছি, টেবিল মাটি ছুঁয়েছে, সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি। এভাবে একটি যুক্তি দেখাওতো।

ছাত্র : আমি আপনাকে ভালোবাসি, আপনি আপনার মেয়েকে ভালবাসেন, সুতরাং আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি!

(১৯) এক ভদ্রমহিলা ও সিনেমা হলের ম্যানেজারের মধ্যে ফোনালাপ-

মহিলা : হ্যালো। কোন ছবি চলছে?

ম্যানেজার : আই লাভ ইউ!

মহিলা : (রেগে গিয়ে) ইডিয়ট।

ম্যানেজার : এটি গত সপ্তাহে চলছিল।

মহিলা : (আরো রাগান্বিত হয়ে) ননসেন্স।

ম্যানেজার : এটি আগামী সপ্তাহে চলবে!

বাঙালি জোকস কিং

(২০) জন্মবার্ষিকীতে একজন শতায়ু বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করা হল তাঁর এই দীর্ঘ্য জীবনের গোপন রহস্য কী?

বৃদ্ধা বললেন, এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। একটা ভিটামিন পিল কোম্পানি, একটা আয়ুর্বেদ কোম্পানি আর এ‌কটা ফ্রুট জুস ফ্যাক্টরির সাথে দরদাম চলছে।

(২১) এক লোক দাতের ব্যাথায় অতিষ্ট হয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে।

রোগী : ডাক্তার সাহেব আমাক তাড়াতাড়ি ওষুধ দেন দাতের ব্যথায় রাতে ঘুমাতে পারি না।

ডাক্তার : ভাল ! আপনেকই তো আমি খুঁজতেছি।

রোগী : কেন ?

ডাক্তার : আমার একজন নাইট গার্ড লাগব!

(২২) পল্টু কোনো দিন পড়া পারে না। কিন্তু সেদিন হঠাৎ জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক পড়া ধরায় হাত তুলল সে।

স্যার : আরে বাহ্। পল্টু বল তো সালোকসংশ্লেষণ কাকে বলে?

পল্টু : (মাথা চুলকে) স্যার পড়ে এসেছি। কিন্তু মনে পড়ছে না।

স্যার : কতটুকু মনে আছে?

পল্টু : স্যার, শেষের দিকটা।

স্যার : ঠিক আছে। শেষের দিকটাই বল।

পল্টু : একেই সালোকসংশ্লেষণ বলে!

(২৩) পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে,‘লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে লন্ডনের দূরত্ব ৮০০০ কিলোমিটার।

একজন লোক লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে গাড়িতে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে লন্ডন রওনা হলো এবং অপর একব্যক্তি লন্ডন থেকে গাড়িতে ১৬০ কিলোমিটার বেগে লস অ্যাঞ্জেলেসে রওনা হল তাদের দুজনের কোথায় দেখাহবে?’

ছোট্ট জনি উত্তর লিখল, ‘জেলখানায়! এত জোরে গাড়ি চালাবেন, পুলিশ বুঝি আঙুল চুষবে?’

(২৪) রবিন : আমার সিংহের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাটা তোকে বলেছিলাম?

সালেক : না তো, কী হয়েছিল?

রবিন : সঙ্গে বন্দুক নেই, সিংহটা সমানে গর্জাচ্ছে, এগিয়ে আসছে…।

সালেক : হায় হায়, তুই তখন কী করলি?

রবিন : বানর দেখতে পাশের খাঁচায় চলে গেলাম!

(২৫) বাবা : তোকে না বলেছিলাম পাস করলে সাইকেল কিনে দেব। তবু ফেল করলি! পড়া বাদ দিয়া কী করছিলি?

ছেলে : সাইকেল চালানো শিখছিলাম!

(২৬) মন্টু : বাবা আজ তোমাকে একটা কথা বলতে চাই?

বাবা : বল।

মন্টু : আমি না মেয়েদের নাম দিয়ে ফেসবুকে পাঁচটা ফেক আইডি খুলছি।

বাবা : হারামজাদা! তোর আর কোন কাজ নাই? এইসব আকাম করছ? তা এই কথা তুই আমাকে কেন বলছিস?

মন্টু : বাবা তুমি যে গত এক মাস যাবত স্বর্ণা চৌধুরী নামের মেয়েটাকে পটানোর চেষ্টা করতাছো ঐটা আমিই!

(২৭) এক বাড়িতে একজন অতিথি এসেছেন। অনেকদিন হয়ে গেল তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায়।

একদিন অতিথিকে শুনিয়ে পাশের ঘরে দু’জন খুব ঝগড়া করতে লাগলো। স্ত্রীকে মারধর এবং স্ত্রীর কান্নার আওয়াজও শোনা গেল। অবস্থা সুবিধার নয় ভেবে অতিথি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে বেরিয়ে গেল। স্বামী-স্ত্রী জানালা দিয়ে তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব হেসে নিল যে, বুদ্ধি করে তারা অতিথি তাড়াতে পেরেছে।

স্বামী বলল, ‘তোমার লাগেনি তো? যে জোরে কাঁদছিলে।’ স্ত্রী বলল, ‘ধুর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম।’ এক সময় অতিথির আবির্ভাব। সে হাসতে হাসতে বলল, ‘আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম!

(২৮) জুয়েলের দাঁতে খুব ব্যথা। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললেন, দাঁত তুলতে হবে। শুনে তো ভয়েই তানভীরের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার যোগাড়। ও আবার এইসব অপারেশন খুব ভয় পায়। সব শুনে ডাক্তার বললেন,

তাহলে আপনি এই ওষুধটা খেয়ে নিন, দেখবেন দাঁত তুলতে একদম ব্যথা পাবেন না। আর সাহসও যাবে বেড়ে। শুনে তানভীরও খুব করে ওষুধটা খেয়ে নিলো।

এবার ডাক্তার জিজ্ঞেস করলো, কি, এখন সাহস পাচ্ছেন তো? – পাচ্ছি না মানে! এবার দেখি, কার এমন বুকের পাটা যে আমার দাঁত তুলতে আসে!

(২৯) দাদা : যা, পালা তাড়াতাড়ি। তুই আজকে স্কুলে যাসনি। তাই তোর হেডমাস্টার বাড়ির দিকে আসছে।

নাতি : আমি পালামু না দাদু। তুমি বরং পালাও। কারণ আমি স্যারকে বলেছি আমার দাদা মারা গেছেন। তাই স্কুলে যাইনি!

(৩০) আজিজ মিঞার কারখানায় আগুন লেগেছে। জলদি আগুন নেভাতে না পারলে সর্বনাশ। আজিজ খবর দিলেন দমকলকর্মীদের। চটজলদি হাজির হলো দমকল বাহিনী। কারখানার সামনের ছোট গলিটার দুই পাশের দোকানগুলো ভেঙে, সদর দরজা গুঁড়িয়ে দিয়ে, দেয়াল ভেঙে সোজা অগ্নিকাণ্ডের স্থলে গিয়ে থামল গাড়ি!

প্রচণ্ড ঝাঁকি খেয়ে গাড়ির পেছনে রাখা পানির ট্যাংকিটা ছিটকে গিয়ে পড়ল আগুনে। ব্যস, নিভল আগুন। দমকলকর্মীদের তৎপরতা দেখে ভীষণ খুশি আজিজ।

তিনি দমকল বাহিনীর প্রধানের হাতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই টাকা দিয়ে আপনারা কী করবেন বলুন তো?’

দমকল বাহিনীর প্রধান : প্রথমেই গাড়ির ব্রেকটা ঠিক করাব!

(৩১) রোগী : আজ আমি বুঝতে পারছি সামান্য জ্বর যে কত ভয়াবহ হতে পারে।

ডাক্তার : কিভাবে বুঝলেন?

রোগী : আপনার বিলের কাগজটা দেখে!

(৩২) নাতিঃ আমাদের বাড়ির সামনের ভদ্রলোক কি গরীব আর কিপ্টে?

নানুঃ কেন রে, কি হয়েছে। না তেমন কিছু নয়।

নাতিঃ ওদের ছোট মেয়েটি মাত্র চার আনা পয়সা গিলে ফেলেছে তাই সেটা বার করতে কী কান্ডই না করছে!

(৩৩) নানু ও নাতির মধ্যে কথা হচ্ছে—

নানুঃ বলতে পারিস, তোর বাবার বয়স এখন কত হলো?

নাতিঃ কেন, দশ বছর।

নানুঃ তা কি করে হয়? তোর বয়সই তো দশ বছর।

নাতিঃ সে জন্যই তো বলছি, আমার জম্মের পরই তো তিনি বাবা হয়েছেন!

(৩৪) বিক্রেতা : এই নাও, তোমাকে ওজনে একটু কম দিলাম, বাসায় নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।

বল্টু : এই নিন টাকা।

বিক্রেতা : এ কী, মাছের দাম তো একশ টাকা, দশ টাকা দিলে কেন?

বল্টু : টাকা একটু কম দিলাম, আপনার গুনতে সুবিধা হবে!

(৩৫) হাতে সেলাই দেওয়া লাগবে। অপারেশন টেবিলে শুয়ে রোগী কাতর চোখে ডাক্তারকে বলল, ‘ডাক্তার সাহেব একটা কথা আছিল।’

ডাক্তার : কী কথা বুঝতে পেরেছি আর বলতে হবে না, সেলাইয়ের সময় যেন ব্যথা না দিই এই তো?

রোগী : না না, তা নয় ডাক্তার সাহেব, সেলাই তো ভালোমতো করবেনই, লগে আমার শার্টের হাতার বোতামটাও একটু সিলাইয়া দিয়েন, ছুইটা গ্যাছে!

(৩৬) এক পাগল ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে চিত্কার করছেঃ পাঁচ পাঁচ পাঁচ।

পাশ দিয়ে এক লোক হেঁটে যাচ্ছিল। সে অবাক হয়ে বললঃ–তুমি এভাবে পাঁচ পাঁচ পাঁচ বলে চিত্কার করছ কেন?

তখন পাগলটি বললঃ তুমি কাছে আসো তোমাকে দেখাই। লোকটি কাছে যেতেই পাগলটি ধাক্কা মেরে তাকে ডোবার মাঝে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলঃ

ছয় ছয় ছয়।

(৩৭) স্বামী : ওগো, তোমার ছেলের জন্য কোথাও টাকা রেখে শান্তি পাচ্ছি না।

স্ত্রী : টাকাগুলো ওর বইয়ের ভেতর রেখো, পরীক্ষার আগ পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে!

(৩৮) স্যার : এই বল্টু, বল তো পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণী কোনটি?

বল্টু : পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণী হচ্ছে গরু।

স্যার : এইটা কেমনে সম্ভব। ব্যাখ্যা দে।

বল্টু : ব্যাখ্যা তো আরো সহজ! বাংলা দ্বিতীয় পত্রে প্রবাদ আছে-অতি চালাকের গলায় দড়ি। বেশির ভাগ গরুর গলায় দড়ি থাকে। সুতরাং গরুই সবচেয়ে চালাক প্রাণী (প্রমাণিত)।

(৩৯) এক সেলসম্যান দরজায় নক করলে দরজা খুললেন গৃহকর্ত্রী। সেলসম্যান দ্রুত লিভিংরুমে ঢুকে এক ব্যাগ গোবর ফ্লোরে ছড়িয়ে দিয়ে বলল,

‘ম্যাডাম, নেক্সট তিন মিনিটের মধ্যে যদি এ পুরো গোবরটুকু আমার কম্পানির ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে না পারি তাহলে গোবরটা আমি খাব।’

গৃহকর্ত্রী : তা গোবরটা খাওয়ার জন্য তোমাকে কী দেব, চিলি নাকি টমেটো সস?

সেলসম্যান : কেন ম্যাডাম, এ কথা কেন বলছেন?

গৃহকর্ত্রী : কারণ বাসায় ইলেকট্রিসিটি নেই। তাই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে নেক্সট তিন মিনিটে তোমার গোবর পরিষ্কার করা হচ্ছে না!

(৪০) এক ডাক্তার ক্লিনিক খুলেছেন। ক্লিনিকের দরজার বাইরে লেখা-যেকোনো ধরনের চিকিৎসার ফি ৩০০ টাকা। বিফলে ১০০০ টাকা ফেরত।

এক চালাক লোক ভাবল, ডাক্তারের চেম্বারে যাবে আর চালাকি করে ১০০০ টাকা কামাই করবে। ডাক্তারের কাছে এসে লোকটি বলল,,,’ডাক্তার সাহেব, আমার জিহ্বায় কোনো স্বাদ পাচ্ছি না।’

ডাক্তার : ‘নার্স, ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা তরল ওনার জিহ্বায় ঢেলে দাও।’

ডাক্তারের কথামতো নার্স ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা তরল লোকটির জিহ্বায় ঢেলে দিতেই চিৎকার করে উঠল লোকটি, ‘ছি ছি! এসব কী? এটা তো প্রস্রাব!’

ডাক্তার : কনগ্র্যাচুলেশন, আপনার জিহ্বার স্বাদ ফিরে এসেছে।’

লোকটি রেগেমেগে ৩০০ টাকা ফি দিয়ে চলে গেল।

দুই সপ্তাহ পরে লোকটি আবার এলো ডাক্তারের কাছে, এবার সুদে-আসলে টাকাটা আদায় করার পরিকল্পনা করে।

এবার বলল, ‘আমি আমার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছি, ডাক্তার।

ডাক্তার : নার্স, ২২ নম্বর বোতল থেকে কয়েক ফোঁটা ওনার জিহ্বায় ঢেলে দাও তো।

শুনে এবারও চিৎকার করে উঠল লোকটি, ‘সেকি ডাক্তার! ওই ওষুধ তো আপনি জিহ্বার স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবহার করেছিলেন!

ডাক্তার : কনগ্র্যাচুলেশন, আপনার স্মৃতিশক্তি ফিরে এসেছে।

এটিও পড়ুন –

Share your love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *